কচুয়া উপজেলার বিতরা ইউনিযনের ৫ গ্রামের মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত বাশের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। জানা গেছে , কচুয়া-সাচার খালের উপর খলাগাঁও সরকারবাড়ি ও বিতরা কপিল্উদ্দিন মাষ্টার বাড়ি নামক স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ৩০০ মিটার দীর্ঘ বাশের সাঁকো দিয়ে খলাগাঁও,বিতরা,শংকরপুর,অভয়পাড়া ও সফিবাদ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। কচুয়া-সাচার খালের উপর ঝঁকিপূর্ণ বাশের সাঁকোটি ওই এলাকার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। ওই এলাকার বিতরা আলিম মাদ্রাসা,বিতারা ও অভয় পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,পালাখাল কলেজ ও তেঘুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীগন বাশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিপূর্নভাবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়ত করতে হয়। প্রায়ই বাশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীগন দুর্ঘটনায় পতিত হয়। খলাগাঁও গ্রামের বৃদ্বা রাবেয়া খাতুন সাংবাদিকদের বলেন বাশের সাঁকো আমাদের জন্য মরন ফাঁদ। প্রায়ই বাশের সাঁকো থেকে পড়ে মানুষ দুর্ঘটনায় পতিত হয় । বিতরা মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী আসমা আক্তার বলেন , বর্তমান সরকার আমাদেরকে বিনামূল্যে বই ও উপবৃত্তি প্রদান করছে অথচ মাদ্রাসায় যাতায়তের বাশের সাঁকোটি পাকা ব্রীজ হলে আমাদের আর কোন সমস্যা থাকবেনা। বিতারা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ইসহাক সিকদার দৈনিক জনকন্ঠকে বলেন, বাশের সাঁকোটির জায়গায় ব্রীজ করার জন্য চেষ্টা চলছে । আমি আশা করি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ গ্রামের জনগন ও শিক্ষার্থীদের কথা ভেবে অচিরেই সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে।।
ছবি: কচুয়ার বিতার ও খলাগাঁও খালের উপর বাশের সাঁকো দিয়ে যাতায়তরত শিক্ষার্থী ও জনগনের একাংশ
Leave a Reply