কচুয়া উপজেলার সর্বত্র সিএনজি অটো রিক্সায় ভাড়ার নামে চলছে নৈরাজ্য আর জিবির নামে প্রত্যেক স্টেশনগুলোতে দিনভর চলছে চাঁদাবাজি। এসব কর্মকান্ডে নজরদারী ও খবরদারি করার মত নেই কোন লোকজন। তাই চাঁদাবাজির মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে। খোদ উপজেলা সদরের বাজারের বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে প্রতিদিনের এ চিত্র একটু দাড়িয়ে থেকে চোখ ভুলালেই নজরে আসবে। বিভিন্ন স্টেশনগুলোতে ঘুরে দেখে গেছে কচুয়া থেকে যেসব অঞ্চলে বা সড়কে সিএনজি ছেড়ে যায় সেসব সড়কে ভাড়ার পরিমাণ দিন দিন কারণে-অকারণে বেড়েই চলছে। কয়েকটি সড়কে নিচক কোনো অজুহাতে ভাড়া একবার বাড়লে তা আর কমেনি। জ্বালানী তেল বা গ্যাসের দাম কমলেও বাড়া বেড়েই চলছে। বিশেষ করে কচুয়া-কালিয়াপাড়া সড়কে শুরু থেকেই সিএনজি মালিক সমিতি কর্তৃক ভাড়া ছিল ৩০ টাকা তা বেড়ে এখন ৪০ টাকায় দাড়িয়েছে। কচুয়া বিশ্বরোড থেকে ভায়া ডুমুরিয়া হয়ে হাজীগঞ্জ সড়কে আগে ৩০ টাকা ভাড়া থাকলেও বর্তমানে তা ৪০ টাকা। কচুয়া উত্তর সিএনজি স্টেশন থেকে সাচার মুখী সিএনজিতে বছর খানেক না ঘুরতেই দু’দফা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। শুরুতেই এ সড়কে ৩০ টাকা ভাড়া থাকলেও বর্তমানে তা কখনও কখনও ৫০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া কচুয়া থানা সংলগ্ন এলাকা থেকে নবাবপুর-কৈলাইন- লক্ষীপুর সড়কেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। কচুয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে তেতৈয়া হয়ে সিংআড্ডা সড়কের তেতৈয়া পর্যন্ত পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া ১০ টাকা থাকলেও পরবর্তীতে রাস্তা খারাপের অজুহাতে আরো ৫ টাকা বাড়ানো হয়। এরপর গত ঈদুল ফিতরে আরো এক দফা বাড়িয়ে তা ২০ টাকা করা হয়। আর সিংআড্ডা পর্যন্ত ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া করা হয়। যা আর কখনো কমেনি। এছাড়াও কচুয়া গুলবাহার-কাশিমপুর সড়ক কচুয়া-গুলবাহার-তুলপাই সড়কেও ভাড়া বেড়েছে। এ নিয়ে দেখভাল করার জন্য সংশ্লিষ্ট লোকজনদের কোন নজরদারি পড়েনি। ফলে দিনের পর দিন এসব সড়কগুলোতে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া গুনছে যাত্রী সাধারণ। যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া আর কতদিন গুনতে হবে এ প্রশ্নের উত্তর ভুক্তভোগী যাত্রী সাধারন এথেকে কবে পরিত্রান পাবে ?
Leave a Reply