আমার লেখা বিশেষ শিশু বা অটিষ্টিক শিশুদেরকে নিয়ে প্রথম পর্বে সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বে বাবা-মা’র সচেতনতা বোধ নিয়ে লেখা হয়েছিল। দ্বিতীয় পর্ব লেখা শুরু করতেছি, সন্তান ভূমিষ্ঠ হবার পর বাবা-মা সর্তক থাকলে সন্তানের মাঝে অটিজমের অবস্থান থাকলেও সন্তানকে কিঞ্চিত হলেও অটিজম থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।সন্তানের বয়স যখন ৬ মাস অতিক্রম করবে তখন সে আস্তে আস্তে দাদা-দাদী, আল্লাহ্-আল্লাহ্ বলে ডাকা শুরু করবে অথবা মুখে অজানা অনেক শব্দ উচ্চারন করে। ক্রমান্বয়ে সন্তানের বয়স যখন ১১ মাস হবে তখন তাকে অবশ্যই একটু ধরে ধরে হাঁটানোর ব্যবস্থা করতে হবে এবং দেওয়া নেওয়া অর্থ্যাৎ একটা জিনিস ওকে দিবেন এবং তার কাছ থেকে নিবেন। সন্তানটিকে সব সময় নাম ধরে ডাকবেন এবং লক্ষ্য রাখতে হবে সে কানে ঠিকমত শুনতে পায় কিনা ? যদি কানে কোন সমস্যা মনে হয় তাহলে সাথে সাথে কানের ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। কানের শুনার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য মহাখালী সায়িকে নিয়ে যাবেন । সন্তানের বয়স যখন ১৬ মাস বা ১৭ মাসে বয়সে তখন সে নিজের চেষ্টায় হাঁটতে শুরু করবে। যদি কোন রকম স্বাভাবিক শিশুদের থেকে একটু কিঞ্চিত পরিবর্তন দেখা যায় তাহলে অবশ্যই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে নিউরো-ডেভলপমেন্ট সেন্টারে ডাঃ সাহিন আক্তার, মিরপুর ১৪ নং সিআরপি হাসপাতাল অথবা ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু বিকাশ কেন্দ্রে অবশ্যই দেখাবেন।
বাবা-মা’র উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমাদের সামান্যতম অবহেলার জন্য আমাদের সন্তানের ভবিষ্যত অন্ধকার নেমে আসুক ,এমন সময় কারো জীবনে যেন না আসে । সন্তান যেন অটিষ্টিক শিশু হিসাবে সনাক্ত না হয় আসুন সে বিষয়ে সচেতন হই । আমার লেখাটা সমাজের কাজে আসলেই, আমি সমাজের কাছে কৃতজ্ঞ।
লেখক পরিচিতি
মোস্তফা ফখরুদ্দিন আহমেদ
চেয়ারম্যান
স্মাইলিং চিলড্রেন স্পেশাল স্কুল
আফতাব নগর ,ঢাকা
Leave a Reply