সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য কাজ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন মোস্তফা ফখরুউদ্দীন। তিনি কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের ডুমুরিয়া গ্রামের অধিবাসী। তিনি অটিষ্টিক বাচ্চাদেরকে প্রতিবন্ধি শিশুদের অবহেলার দৃষ্টিতে না দেখে বিশেষ শিশু হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের মেধা বিকাশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন । গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা হোসেন পুতুলের পৃষ্ঠপোষকতা, সহযোগিতা ও সৃষ্ট সচেতনতা বোধের ফসল হিসাবে ঢাকা শহরে, অটিষ্ট্রিক শিশুদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে বা ঝবষভ ঝঁভভরপরবহঃ করার জন্য ঝসরষরহম ঈযরষফৎবহ ঝঢ়বপরধষ ঝপযড়ড়ষ নামে আফতাব নগর, বাড্ডা, ঢাকায় একটি স্কুল স্থাপন করেছেন। বর্তমানে এই স্কুলে ৮৫ জন শিশু এবং ৮৫ জন শিক্ষক রয়েছে। অর্থ্যাৎ স্কুলটি ১:১ পদ্ধতিতে শিশুদেরকে প্রশিক্ষন ও শিক্ষা দেওয়া হয়। তার স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে আজ প্রায় ৫ বছর। এই পাঁচ বছরে ১৩ জন শিশু স্বাভাবিক হয়ে অন্য স্কুলে গিয়ে পড়ালেখা করছে। মোস্তফা ফখরুউদ্দীন জানান, আজ আমরা সমাজে মাথা উচু করে বলি “আমার সন্তান অটিষ্টিক, এটা লজ্জার নয় ভালবাসার”। আমাদের সবার স্নেহ ও ভালবাসার মাধ্যমে অটিষ্টিক শিশুরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারে। সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র স্মাইলিং সিলড্রেন স্কুলটি পরিদর্শন করে শিক্ষক ,শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত কলাকুশলীদের সাথে মত বিনিময় কালে তিনি বলেন মোস্তফা ফখরুদ্দিনের এধরনের ব্যতিক্রমী প্রয়াস বাংলাদেশে একটি অনন্য দৃষ্টান্ত । মোস্তফা ফখরুউদ্দীন একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সুখ্যতি অর্জনের পাশাপাশি তিনি একজন সফল সমাজ সেবক হিসেবে স্মরনীয় হয়ে থাকবেন। আমরা গর্ববোধ করি বিশেষ শিশুদের নিয়ে কাজ করে তাদেরকে বেচে থাকার সুযোগ করে দেওয়ার জন্যে ।
Leave a Reply