1. ashraful.shanto@gmail.com : Ashraful Talukder : Ashraful Talukder
  2. newstalukder@gmail.com : Alamgir Talukder : Alamgir Talukder
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪১ অপরাহ্ন

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২০১৬ গোহট দক্ষিন ইউনিয়ন

  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৫
  • ১০০৬ বার পড়া হয়েছে

1২০১৬ সালের ইউনিয়ন  পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার- প্রচারনা, গনসংযোগ ও মতবিনিময় লক্ষ্য করা গেছে। দলীয় মনোনয়নের লক্ষ্যে প্রার্থীরা ইতিমধ্যে দলীয় হাই কমান্ডের সাথে জোড় লবিং চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বিএনপির একক প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রায় আধা ডজন প্রার্থীর নাম শোনা যায়।
গোহট দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ
উপজেলার দক্ষিনে ১৯টি গ্রাম নিয়ে গোহট ইউনিয়ন পরিষদ।গ্রাম গুলো হলÑবলরা,গোহট,দরিগোবিন্দপুর,শাহারপাড়,উচিতগাবা,পড়াগাঁও,কান্দিরপাড়,চাপাতলী,চাপাতলী,ইসলামপুর,নাউপুরা,খাজুরিয়া,লক্ষীপুর,গোবিন্দপুর,কৈটোবা,কেশরকোট,সাকুড়া,রাজাপুর,আমুজান ও চান্দিয়াপাড়া। ভোটার সংখ্যা ১৮হাজার ১শত ৩ জন।পুরুষ ৯ হাজার ২৯ জন,মহিলা ৯হাজার ৭৪ জন।গোহট ইউনিয়নের বাসিন্দা  বর্তমান আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড.হেলাল উদ্দিন । এই ইউনিয়নে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন- বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: আমির হোসেন,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: শাহরিয়া(শাহীন) ,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: সেলিম, শেখ মজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি আহসান উল্যাহ চৌধুরী (কায়েস) ও  বিএনপি সমর্থিত একমাত্র প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী নাম শোনা যায়।
মোঃ আমির হোসেন
গোবিন্দ পুর গ্রামের অধিবাসী বর্তমান গোহট ইউনিয়ন দক্ষিন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমির হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের হস সভাপতি  । িিবএবি উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি,তিনি জানান ৭০ সালে ছাত্র লীগের মাধ্যমে আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু। শেখ মজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজে  ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ,উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক দবার উপজেলা যুবলীগের সহ সভপতি, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হিসাবে আমি দায়িত্ব পালন করেছি।র্  আমি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহন করার পর ২৯টি কালভাট ,২টি মানসম্মত ব্রীজ,৪টি নতুন রাস্তা নির্মন করে মানুষের চলাচলের জন্যে  সু-ব্যবস্থা করেছি।গোবিন্দপুর,ইসলামপুর,চাপাতলী,পাাঁড়াগাঁও গ্রামে  বিদ্যুত সংযোগ দিয়েছি। আমার ইউনিয়নের ৯৩টি মসজিদের মধ্যে বেশীরভাগ মসজিদে অনুদান দিয়েছি। মাদক নিমূলে এলাকাবসীর সহযোগীতায় সভা সমাবেশ করেছি।  শিক্ষার মান উন্নয়নে ভূমিকা সহ মানুষকে সেবাদানের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদদের কার্যক্রম জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। তাই আমি আশাবাদী ইউনিয়ন বাসী আমাকে পূনরায় নির্বাচিত করবে।
মো: শাহরিয়া (শাহীন)
দরিগোবিন্দপুর গ্রামের অধিবাসী মো: শাহরিয়া শাহীন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ।মো: শাহরিয়া শাহীন ৯২ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে পদার্পন। ৯৪ সালে উপজেলা যুবলীগের সদস্য, ২০০৪ সালে বীনা প্রতিদ্বন্দিতায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ,অবশেষে ২০১২ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভপতি নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।তিনি জানান  ২০০১ সালে বিএনপি জামায়েত জোট সরকারের আমলে দেলোয়ার মাষ্টার হত্যা ও তেতৈয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মান্নান হত্যা মামলাসহ ৯টি মিথ্যা মামলায় দুর্বিসহ জীবন যাপন করেছিএবং  আমাকে মিথ্যা  মামলা দিয়ে হয়রানী করা হয়েছে। তাছাড়া আমি রাজনীতি করার কারনে ওই সময় তিনমাস করাবরন করেছি। শাহীন জানান- তৃনমূলের সকল নেতা-কর্মী আমার সাথে আছে এবং দলের দুঃসময়ে আমি নেতাকর্মীদের সুখে-দুখে এলাকাতে ছিলাম। শাহীন বলেন সবাই নির্বাচনের আগে বলেন নির্বাচিত হলে সন্ত্রাস ,মাদক ও দুর্নিতী মুক্ত ইউনিয়ন গড়বে। আমি দৃঢ়তার সাথে বলছি আমি বাস্তবে চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়ে সন্ত্রাস ,মাদক ও দুর্নিতী মুক্ত  ইউনিয়ন গড়ে দেখাতে চাই ।  এই আন্দোলনে  নেতা-কর্মী ও আমার প্রিয় ইউনিয়ন বাসী আমার সাথে থেকে আমাকে সহযোগিতা করবে।এলাকাবাসী আমাকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায়।
মো: সেলিম
গোবিন্দপুর গ্রামের অধিবাসী মো: সেলিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক।তিনি দলিল লেখক ছড়িাও রহিমানগর রেসিডেন্টসিয়াল স্কুলে সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১২ সালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।  তিনি জানান ৮৪ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে আমার রাজনীতিতে পদার্পন। ২০০৪ সালে দলের ক্রান্তিকালে এলাকায় ছিলাম ওই সময় বিএনপির দেওয়া  দুটি মিথ্যা মামলার দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি।রহিমানগরে অবস্থিত আমার হার্ডওয়্যার দোকান ওই সময় ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে।২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আনম এহসানুল হকের কেন্দ্রের আহবায়ক নির্বাচিত হয়ে চান্দিয়াপাড়া কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীরের পক্ষে সর্বাধিক  ৮৭৫ভোট দিয়ে দলকে জয়যুক্ত করেছি। দলের প্রতি অনুগত থেকে শত প্রতিকুলতা শর্তে ও নিবেদিতভাবে দলের পক্ষে কাজ করছি। গতবারের  ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে  মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। তাই আশা করছি আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দল আমাকে মনেনয়ন দিবে।
আহসান উল্যাহ চৌধুরী (কায়েস)
গোহট চৌধুরী বাড়ির ছলিম উল্লাহ চৌধুরীরর সন্তান আহসান উল্যাহ চৌধুরী (কায়েস) ।তিনি শেখ মজুবিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের সাবেক ভিপি হিাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জানান- দক্ষিন অঞ্চলের আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলের জন্য কাজ করে দলের সাংগঠনিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে কয়েক বার জেল খেটেছি তাছাড়া দু:সময়ে  দলকে ভালবেসে নেতাকর্মীর সাথে এলাকাতে রয়েছি। নেতাকর্মী ইউনিয়ন বাসী আমাকে প্রচন্ড ভালবাসে । তাই মানুষকে ভালবেসে এলাকার উন্নয়ন ও  অগ্রগতির লক্ষ্যে আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রতিদ্বন্দিতা করা প্রত্যয় ব্যক্ত করছি।
মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী
উপজেলা বিএনপি নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী সাহারপাড় গ্রামের অধিবাসী । বিএনপি সমর্থিত একক সাবেক চেয়ারম্যান  মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ফারুকী জানান- আমি আশাবাদী জনগন যদি সুষ্ঠভাবে নিজের ভোট প্রয়োগ করতে পারে তাহলে আমি এই ইউনিয়ন পরিষদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব । #

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার