1. ashraful.shanto@gmail.com : Ashraful Talukder : Ashraful Talukder
  2. newstalukder@gmail.com : Alamgir Talukder : Alamgir Talukder
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪২ অপরাহ্ন

ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিক্রমা(কড়ইয়া )

  • আপডেট : সোমবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১৫
  • ৯৮১ বার পড়া হয়েছে

২০১৬ সালের ইউনিয়ন  পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার- প্রচারনা, গনসংযোগ ও মতবিনিময় লক্ষ্য করা গেছে। দলীয় মনোনয়নের লক্ষ্যে প্রার্থীরা ইতিমধ্যে দলীয় হাই কমান্ডের সাথে জোড় লবিং চালিয়ে যাচ্ছে।
কড়ইয়া ইউনিয়ন
জনসংখ্যার দিকদিয়ে উপজেলার সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন কড়ইয়া । প্রায় ৬৫ হাজার জনগন অধ্যুষিত কড়ইয়া ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে সর্বাধিক ২৫ট গ্রাম রয়েছে। এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার ৮ শত ৭৮জন,পুরুষ ১৩ হাজার ৪শত ৫৭ জন,মহিলা ১৩ হাজার ৪ মত ২১ জন ।  সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন- বর্তমান চেয়ারম্যান মো:আমিনুল ইসলাম মালেক,সাবেক চেয়ারম্যান  ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক জিকেএম আলমগীর মজুমদার , ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড.নুরুল ইসলাম মিয়াজি,সাধারন সম্পাদক মো: আবুবক্কর মিয়াজি,সাংগঠনিক সম্পাদক জিসান আহমেদ ,উপজেলা যুবলীগের সদস্য আহসান হাবিব জুয়েল ও মনোহরপুর গ্রামের অধিবাসী সমাজ সেবক হেলাল উদ্দিন সরকার (মুক্তার) প্রমূখ।সব মিলিয়ে বিএনপির একক প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রায় আধা ডজন প্রার্থীর নাম শোনা যায়।
মো:আমিনুল ইসলাম মালেক
সাহেদাপুর  গ্রামের অধিবাসী সাবেক উপজেলা  বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক  বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মো:আমিনুল ইসলাম মালেক । ২০০৩ সালে প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব ভার গ্রহন করে ২০১১ সালে আবার দ্বিতীয় মেয়াদে  তিনি বিএনপি হতে সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন। তিনি মনে করেন দল ও এলাকাবাসী চাইলে আমি  তৃতীয় বারের মত  নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবো । তিনি বলেন  পরিচ্ছন্ন জম্ম নিবন্ধন,রাস্তা ঘাট ,ব্রজি কালভার্ট সহ সরকারের সকল উন্নয়ন মূলক কাজ আমি সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করেছি তাই  জনগন আমাকে  পুনরায় চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করলে অসমাপ্ত কাজ গুলি সম্পন্ন করকে পারব। তিনি বলেন ইউনিয়ন পরিষদ জনগনের সেবা দানের কেন্দ্র । আবার ও জনগন আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে জনগনকে সেবা  প্রদানের লক্ষে কাজ করে যাবো।

1
আবু বকর মিয়াজী
পূর্ব কালচোঁ গ্রামের অধিবাসী আবু বকর মিয়াজী কড়ইয়া ইউনিয়ন আওয়মী লীগের সাধারন স্মপাদক ।তিনি ওই ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও পূর্ব কালচোঁ জিএ দাখিল মাদরাসার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব  পালন করছেন। আবু বকর মিয়াজী কড়ইয়া ইউনিয়নের সাবেক ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর ৪৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভঅপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মনে করেন মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত ইউনিয়ন গড়তে ভাল মনের মানুষের প্রয়োজন, যে মানুষটি এলাকায় থেকে মানুষের কল্যানে কাজ করবে।তৃনমূলের  নেতাকর্মী থেকে শুরু করে করইয়া ইউনিয়নের প্রতিটি এলাকার মানুষের সাথে আমার সুসর্ম্পক রয়েছে। ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সবাই আমার আপনজন।যে মানুষ পছন্দ করে আল্লাহ তাকে পছন্দ করে। ্আমার নেতা সাবেক সফল স্বরাস্ট্র মন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর কচুয়ার উন্নয়নে যে সব কাজ করেছেন তা জনসম্মুখে উপস্থাপন  করতে দলের একজন কর্মী হিসাবে আমি আপ্রান চেষ্টা করে যাব। আবু বকর মিয়াজী মনে করেন শিক্ষার মান উন্নয়নে ভ্লা পরিবেশের প্রয়োজন। বাল্য বিবিাহ যৌন হয়রানী একটি বিরাট সমস্যা। এ সমস্যা থেকে পরিত্রানের উপায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। দীর্ঘদিন যাবত রাজনিতির সাথে সম্পৃক্ত থাকার কারনে তিনি এলাকার মানুষের উন্নয়নে অগ্রনী ভুমিকা রেখেছেন।বর্তমানআওয়ামী লীগ সরকারের অর্জন গুলি সাধারন মানুষের দোরগড়ায় পৌছে দিয়ে কড়ইয়া ইউনিয়নের মানুষের কল্যানে আমি কাজ করতে চাই কারন আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি কড়ইয়া আমার প্রথম ও শেষ ঠিকানা । তাই আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কড়ইয়া ইউনিয়নের লোকজন আমাকে তাদের চেয়ারম্যান হিসাবে সেবা করার সুযোগ দিবেবলে আমি মনে করি।
জিকে এম আলমগীর মজুমদার
ডুমুরিয়া গ্রামের অধিবাসী জিকেএম আলমগীর মজুমদার কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। জিকেএম আলমগীর মজুমদার ইতিপূর্বে কড়ইয়া ইউনিয়ন পরিষদের দু’বার চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক প্রতিক্রিয়া তিনি জানান- আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সমতার ভিত্তিতে পুরো ইউনিয়নে উন্নয়ন হয়েছে।  দীর্ঘ সময় ধরে আমার এলাকায় নির্বাচিত   জনপ্রতিনিধি না থাকায়  সামগ্রিক ভাবে উন্নয়ন পিছিয়ে পড়েছে। পিছিয়ে পড়া জনগনকে উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত করতে আমি চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করতে আগ্রহী। কড়ইয়া ইউনিয়নের বেশির ভাগ এলাকায়  বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ কাল ভার্টের অভাবে জনগনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমি নির্বাচিত হলে সমগ্র ইউনিয়নে সমতার ভিত্তিতে উন্নয়নের কাজ করব। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও পেশী শক্তির প্রয়োগ যুব সমাজকে বিপদগামীতা থেকে ফিরিয়ে এনে এলাকার উন্নয়ন করতে সক্ষম হব। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসাবে গত বছর নির্বাচন করেছি ।এবছরও দলের সিদ্বান্ত আমার অনুকুলে থাকবে বলে আশাবদী।

অ্যাড.নুরুল ইসলাম মিয়াজি
আকিয়ারা  গ্রামের অধিবাসী বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড.নুরুল ইসলাম মিয়াজি আইন জীবি পেশার পশাপাশি আওয়ামী রাজনীত্্ির  সাথে সম্পৃক্ত।। তিনি ২০০৩ সালে প্রথম  সালে  প্রথম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচি হন। ২০১৪ সালে দলীয় কাউন্সিলরগনের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে আবার সভাপতি নির্বাচিত হন। অ্যাড.নুরুল ইসলাম মিয়াজি  বলেন কড়ইয়া একটি বৃহৎ  ও জনবহুল ইউনিয়ন । আমার ইউনিয়নের  রাস্তা ঘাট,   স্কুল কলেজ প্রয়োজনের তুলনায় কম। তারপরও শিক্ষায় আমরা এগিয়ে ।মানুষের চাহিদানুযায়ী রাস্তা ঘাট ,ব্রীজ কালভার্ট  স্কুল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বাল্যবিবাহ নারী নির্যাতন ও মাদকের বিরুদ্বে জনগনকে সচেতন করতে হবে।  গত বারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে দলীয় সিদ্বান্ত মেনে তা প্রত্যাহার করেছি। গত নির্বাচনের পর থেকে এলাকার মানুষের সাথে থেকে তাদের কল্যানে কাজ করেছি । তৃনমূলের নির্বাচন হলে তিনি সকলের সমর্থন পাবেন বলে আশাবাদী। তিনি  মনে করেন জনগন  পরিবর্তন চায় । জনগন তাকে চেয়াম্যান নির্বাচিত করলে রাস্তাঘাট উন্নয়ন,মানুষের মৌলিক অধিকার গুলি নিশ্চিত করা ও রাজনীতিতে অটল থেকে  জনগনকে আরো বেশী সেবা করা সম্বভ ।

আহসান হাবিব জুয়েল
আকানিয়া নাসিরপুর গ্রামের অধিবাসী আহসান হাবিব জুয়েল কচুয়া উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি ইতিপূর্বে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। জুয়েল বলেন- তাঁর বাবা একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক । বাবার শিক্ষকতার আদর্শ বুকে ধারন করে বাবার পরিচিতি, নিজের স্বচ্ছ রাজনীতিকে  কাজে লাগিয়ে মানুষের কল্যানে কাজ করতে চাই। দু’বছর যাবত কড়ইয়া ইউনিয়নের প্রতিটি বাড়িতে সবার সাথে কুশল বিনিময় করেছি। এসময় প্রতিিিট শুক্রবারে ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদে মানুষের সাথে জুমার নামাজ আদায় করে সবার সাথে মতবিনিময় করেছি। বারবার কড়ইয়া ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এলাকায় উন্নয়নে পিছিয়ে পড়ছে। মানুষ পরিবর্তনের জন্য আমাকে ভবিষ্যতে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবে বলে আমি আশাবাদী। আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি মুক্ত সমাজ গঠন করে উপজেলার মধ্যে কড়ইয়া ইউনিয়নকে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলব।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার