রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তাদের মাইক্রোবাসে ওই হামলা হয় বলে জানান রাজিব।
মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসি কার্যকরের পর সকালে সাকা চৌধুরীর লাশ গহিরায় তার গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়। জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয় পারিবারিক কবরস্থানে। সেই খবর সংগ্রহ করতে আরও অনেক সংবাদকর্মীর মত রাজিবও রাউজানে যান।
আহত রাজিব
বলেন, “সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর বাড়ি থেকে মাইক্রোবাসে করে ফেরার সময় কিছুদূর এগোনোর পর কয়েকজন যুবক গাড়ির গতিরোধ করে।
“তারা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে মাইক্রোবাস ভাংচুর করে। আমরা প্রতিবাদ করলে তারা গুলি করে। এ সময় আমার পায়ে গুলি লাগে।”
ওই মাইক্রোবাসে থাকা মোহনা টেলিভিশনের চিত্রগ্রাহক লিমন বলেন, “হামলাকারীরা কোনো কথা না বলেই হামলা শুরু করে। সম্ভবত তারা স্থানীয় আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোহনা টেলিভিশনের মাইক্রোবাসটি ওই এলাকা অতিক্রম করার আগে একাধিক সংবাদ মাধ্যমের গাড়ি গিয়েছে। আর কোনো গাড়িতে হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন, কোনো হামলার খবর তারা জানেন না।
পুলিশের হাটহাজারী সার্কেলের এএসপি মসিউদ্দৌলা রেজাও বলেছেন, ওই হামলার বিষয়ে কোনো অভিযোগ তিনি পাননি।
ঢাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও কাছেও রাউজানের ওই হামলার বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা।
সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমি খবর পাইনি, কি হয়েছে দেখতে হবে। রাউজান তো উনার (সাকা) এলাকা। জেনে বলতে হবে।”
Leave a Reply