২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান ও মেম্বার প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার- প্রচারনা, গনসংযোগ ও মতবিনিময় লক্ষ্য করা গেছে। দলীয় মনোনয়নের লক্ষ্যে প্রার্থীরা ইতিমধ্যে দলীয় হাই কমান্ডের সাথে জোড় লবিং চালিয়ে যাচ্ছে।
কচুয়া সদর দক্ষিন
কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়নে জন্মœ কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত খন্দকার আব্দুল আউয়ালের।১৩টি গ্রাম নিয়ে কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ। গ্রামগুলোহচেছ-ঘাগড়া,আবদুল্লাাহপুর,আকানিয়া,কেমারকাশা,রাজাপুর,কচুয়া মুন্সি বাড়ি,মিয়া বাড়ি,আন্দিরপাড়, ধলি কচুয়া,হোসেনপুর,বদরপুর,দৌলতপুর,তুলপাই,কাজকামতা ও বাখৈয়া।এই ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৬শত ৪৩ জন। পুরুষ ভোটার ৫ হাজার ৯শত ৩৮ জন ,মহিলা ৫ হাজার ৭শত ৫ জন।এই ইউনিয়নে শিক্ষার উন্নযনে কোন মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয় নেই। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন- বর্তমান চেয়ারম্যান মো:মিজানুর রহমান পাাঠন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সদস্য মো: জসিম উদ্দিন লিটন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা ফুয়াদ হাসান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান মিন্টু ,উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো:জোবায়ের হোসেন , সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আলী আজগর প্রধান ও ্আওয়ামী লীগ নেতা আবুল হোসেন প্রমূখ।সব মিলিয়ে বিএনপির একক প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের প্রায় আধা ডজন প্রার্থীর নাম শোনা যায়।
মো: মিজানুর রহমান পাঠান
্্আকানিয়া গ্রামের অধিবাসী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান মো: মিজানুর রহমান পাঠান । ২০০৩ সালে প্রথম চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব ভার গ্রহন করে ২০১১ সালে আবার দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি বিএনপি হতে সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে জয়ী হন। তার আমলে ঘাগড়া এলাকায় নিজস্ব উদ্যোগে দুটি ব্রীজ নির্মান করেছেন।সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ঘাগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে সুপেয় পানির প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে আমার এলাকার সাড়ে তিন হাজার পরিবার আর্সেনিক মুক্ত খাবার পানির সুবিধা পাবে। তিনি জানান উপজেলা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক হিসাবে তাঁর রাজনীত শুরু হয়েছে। তিনি মনে করেন দল ও এলাকাবাসী চাইলে আমি তৃতীয় বারের মত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবো । তিনি আশা করেন যে জনগন তাঁকে পুনরায় চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত করলে অসমাপ্ত কাজ গুলি সম্পন্ন করা সম্ভব।ইউনিয়ন পরিষদ জনগনের সেবা দানের কেন্দ্র । আবার ও জনগন আমাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করলে জনগনকে সেবা প্রদানের লক্ষে কাজ করে যাবো।
জসিম উদ্দিন লিটন
আন্দিরপাড় গ্রামের অধিবাসী সাবেক ছাত্রনেতা আওয়ামী পরিবারের সন্তান বর্তমানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো: জসিম উদ্দিন লিটন। তিনি ৯৮ সালে কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি,সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য ছিলেন। গত বারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে দলীয় সিদ্বান্ত মেনে তা প্রত্যাহার করেন। গত নির্বাচনের পর থেকে এলাকার মানুষের সাথে থেকে তাদের কল্যানে কাজ করেছন । তৃনমূলের নির্বাচন হলে তিনি সকলের সমর্থন পাবেন বলে আশাবাদী। তিনি মনে করেন জনগন পরিবর্তত চায় তাই ড.মহীউদ্দিন খান আলমগীর আমাকে মনোনয়ন দিবেন। তিনি মনে করেন জনগন তাকে চেয়াম্যান নির্বাচিত করলে রাস্থাঘাট উন্নয়ন,মানুষের মৌলিক অধিকার গুলি নিশ্চিত করা ও রাজনীতিতে অটল থেকে জনগনকে আরো বেশী সেবা করা সম্বভ ।
ফুয়াদ হাসান
হোসেনপুর গ্রামের অধিবাসী ফুয়াদ হাসান ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত।৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক,২০০৩সালে পৌর ছাত্রলীগের আহবায়ক,২০০৪ সালে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি,২০১৩ সালে পৌর যুবলীগের আহবায়ক,২০১৪ সালে উপজেলা যুবলীগের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বিএনপি জামায়েত সরকারের আমলে তেতৈয়া গ্রামের আ:মান্নান হত্যা মামলাসহ ১৪ টি রজনৈতিক মিথা মামলার দ্বারা নির্যাতিত হয়েছেন। তিনি বলেন ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের দু:সময়ে কচুয়ায় থেকে নিজেরা নির্যাতিত হয়েছি ,আওযামী লীগের কর্মী সমর্থকদের দু:খের সময় দলের জন্য কাজ করেছি।আওয়মী লীগ করার কারনে চারবার কারাবরন করেছি । দলীয় নেতা কর্মী সমর্থক সবার সাথে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকবো। তাই আমি আশাবাদি আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সব কিছু বিবেচনায় রেখে আমাদের সকলের অভিভাবক সাবেক সফল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর আমাকে কচুয়া সদর দক্ষিন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মনেনয়ন দিবেন।আমি নির্বাচিত হলে সকলের সমন্বয়ে সন্ত্রাস,চাঁদাবাজী,মাদকের ব্যবহার প্রতিরোধে কাজ করে সমাজ থেকে সকল অপশক্তি রোধে অগ্রনী ভ’মিকা রাখব। ।সর্বোপরি জনগনের সেবাদানের কেন্দ্র হবে ইউনিয়ন পরিষদ।
মো: আবুল হোসেন
আকানিয়া গ্রামের অধিবাসী মো:আবুল হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।তিনি ৮৭ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র লীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।চাকুরী জীবন শেষে বর্তমান এলাকার রজনীতির পাশাপশি সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত।তিনি মনে করেন মানুষের কল্যান করতে হলে স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্বে থাকলে এলাকার মানুষের অধিকতর উপকর করা সম্বভ।তিনি স্নতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে চাকুরি শেষে মানুষের কল্যানে কাজ যাচ্ছেন। তার বিশ্বাস মাদক মুক্ত আলোতি সমাজ গড়তে আ¦ালোকিত সাদা মনের মানূষ প্রয়োজন । সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষের মৌলিক অধিকার গুলি প্রতিষ্ঠিত হবে। দল থেকে মনেনয়ন পাবার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদি।তারপরও দলের সিদ্বান্ত মেনে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের হাতকে শক্তিশালী করতে তিনি কাজ করে যাবেন।
আতাউর রহমান মিন্টু
বাখৈয়া গ্রামের অধিবাসী আতাউর রহমান মিন্টু ইউনিয়ন আওমী লীগের সভাপতি ।তাঁর বাবা একজন শিক্ষক । শিক্ষকের আদর্শকে বুকে ধারন করে মানুষের সেবা করতে চান। তিনি সাবেক উপজেলা যুবলীগের সদস্য,কচুয়া দক্ষিন ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক,দোল্লাই নবাবপুর ডিগ্রী কলেজের ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দাযিত্ব পালন করেন। দলীয় রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে দলের দু:সময়ে কাজ করেছেন। তাই দল থেকে মনোনয়ন পাবার ব্যপারে আশাবাদী। অতীতের ন্যায় জনগনের পাশে থেকে আওমীলীগের সক্রিয় কর্মী হিসাবে চেয়াম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগনের সেবা কবতে চান। তিনি জয়ী হবেন। তিনি আশা ব্যাক্ত করেন যে জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন।
মো:জোবোয়ের হোসেন
হোসেনপুর গ্রামের অধিবাসী মো:জোবায়ের হোসেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি । ছাত্রলীগ দিয়ে রাজনীতিতে আগমন। রাজনীতির পাশাপাশি একজন ব্যবসায়ী। তিনি মনে করেন ্এলাকাবাসী তরুন নেতৃত্ব চায় ।বয়স্কদের পাশাপাশি যুব সমাজ আমাকে ভবিষ্যতে আমার সততার জন্যে চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চায়। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজের সাথে জড়িত। তিনি জানান, সমগ্র ইউনিয়নে তার জনসমর্থন রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন জনগন এবং ড.মহীউদ্দীন আলমগীর তাকে সমর্থন দিবেন। মনোনয়নের ব্যপারে দলীয় সিদ্বান্ত তিনি মেনে নিয়ে সবার জন্য কাজ করতে আগ্রহী।
পরবর্তী সংখ্যায় থাকছে কচুয়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরিক্রমা
Leave a Reply