কচুয়া পৌর সভার প্রতিষ্ঠা লাভ করে ১৯৯৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ।সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর কচুয়া পৌর সভার প্রতিষ্ঠাতা ।পৌর সভার জনসংখ্যা ৩০ হাজার .মোট ভোটার ১৫ হাজার ৮ শত ৩৪ জন।পুরুষ ৮ হাজার ৮৪, মহিলা ৭ হাজার ৭শত ৫০ জন। ডিসেম্বর,১৫ অথবা ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । নির্বাচন কে ঘিরে সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যাপক প্রচার- প্রচারনা, গনসংযোগ ও মতবিনিময় লক্ষ্য করা গেছে।তাছাড়া প্রর্থীগন ঈদ উপলক্ষে ভোটারদের জানান দেওয়ার জন্যে পোস্টার লিপলেট বিতরণ শুরু করেছে। দলীয় মনোনয়ন লক্ষ্যে প্রার্থীরা এরই হাই কমান্ডের সাথে জোড় লবিং চালিয়ে যাচ্ছে। মুলত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা হবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর মধ্যে। কচুয়া পৌর সভায় আওয়ামী মনা ভোটার প্রায় শতকরা ৬৮ ভাগ। আসছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী প্রায় ৮জন অপরদিকে বিএনপির সমথিত প্রার্থী মাত্র দুজন।
কচুয়া পৌরসভা
১৪টি গ্রাম নিয়ে কচুয়া পৌর সভা গঠিত।কোয়া,কোয়াচাঁদপুর,বালিয়াতলী,কান্দার পাড়,করইয়া,নিলামপাড়া,সুবিদপুর,করইশ,পলাশপুর,হাটকচুয়া,ধামালুয়া,মাছিমপুর,রসুলপুর,কুটিয়া লক্ষীপুর নিয়ে কচুয়া পৌর সভার প্রতিষ্ঠা । পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য যে সব মেয়র প্রার্থীদের নাম শোনা যায় তারা হলেন বিএনপি সমর্থিত বর্তমান মেয়র হুমায়ুন কবির প্রধান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক নাজমুল আলম স্বপন,পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: জামাল হোসেন,দপ্তর সম্পাদক মনজুর আহমেদ সুজন,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আহসান হাবিব ,উপজেলা আওযামী লীগের সদস্য সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব প্রাঞ্জল, উপজেলা যুবলীগের সদস্য মনির হোসেন প্রধান, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব আলম,উপজেলা আওয়ামী প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মুক্তিযোদ্ধা শুকু মিয়ার সন্তান মোঃ মাসুদ আলম ও প্রয়াত সাবেক মেয়র জাহিদ হোসেন ভ’ইুয়ার ভাইপো আক্তার হোসেন সোহেল ভ’ইয়ার নাম শোনা যায়।
মনজুর আহমেদ সুজন
কোয়া গ্রামের অধিবাসী ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসায়ী মনজুর আহমে§দ সুজন। সুজন ৯৭ সালে কচুয়া বঙ্গবন্ধু কলেজ ছাত্রসংসদের মনির-সুজন-আওলাদ পরিষদের সাধারন সম্পাদক (জিএস)হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ৯৮-৯৯-২০০০সালে উপজেলা ছাত্র লীগের প্রচার সম্পাদক ও বর্তমান পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি কচুয়া বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করে রাজনীতির পাশাপাশি ব্যবসা করছেন। তিনি আওমীলীগের একজন সক্রিয় কর্মি। এছাড়া ও তিনি সফল ব্যবসায়ী, সামাজিক সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে মানুষের কল্যানে কাজ করছেন। তিনি জনান, রাজনীতি করতে গিয়ে মনে হয়েছে ড.মহীউদ্দিন খান আলমগীরের কচুয়াকে নিয়ে যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়ন করতে পারবেন। তিনি মনে করেন মাদক মুক্ত আলোকিত সমাজ গড়তে আলোকিত মানুষ ও মাদক মুক্ত ভাল মনের জনপ্রতিনিধি প্রয়োজন। দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিলে ড.মহীউদ্দিন খান আলমগীরের প্রতিষ্ঠিত পৌরসভায় মানুষের সমস্যার সমাধানে তিনি কাজ করে যাবেন। কোন প্রকার পেশী শক্তি ছাড়া মানষের ভালবাসার মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান করা সম্বভ।পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা,বিশুদ্ব সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা,পৌরসভার খোলা ল্যাট্রিন গুলির পরিবর্তে স্বাস্থ সম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন করা,পরিকল্পিত নগর গড়ে তোলা ,বিনোদনের জন্যে পার্ক স্থাপন এবং অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পৌর সভার ব্যবহারের অনুপযোগী রাস্থা গুলি মেরামত করে যান ও জন চলাচলের ্্্্্্উপযোগী করে পৌরসভাকে জনগনের সেবাদান কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলাই আমার সপ্ন। তিনি দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে আশাবাদি।
মো: নাজমুল আলমস্বপন
করইশ গ্রামের অধিবাসী উপজেলা কুষক লীগের সভপতি সাবেক কমিশনার মুক্তিযোদ্বা শুকু মিয়ার সন্তান মো: নাজমুল আলমস্বপন।স্বপন ৯৪ সালে হযরত শাহ নেয়ামত শাহ উচ্চ বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি,৯৬ সালে কচুয়া বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক,২০০৮ সালে উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সহ সাধারন সম্পাদক ,২০১৩ সালে উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও ২০১৪ সালে যুবলীগের আহবায়ক হিসাবে¡ দায়িত্ব পালন করছেন । উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে দলীয় সিদ্বান্ত মেনে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। তিনি জানান ওই সময় আমাদের এমপি সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আমাকে পৌর নির্বাচনে মেয়র হিসাবে মনোনায়নের আশ্বাস দিয়েছেন।তাছাড়া দলীয় সিদ্বান্ত মেনে সব সময় তার পরিবার ও তিনি দলের পক্ষে কাজ করেছেন এবং ভবিষতেও করবেন। তিনি আরো মনে করেন দল থেকে মনেনয়ন পেলে পৌরবাসী তাকে মেয়র হিসাবে নির্বাচিত করবে এবং আশা করেন যে জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন।
হুমায়ুন কবির প্রধান
করইশ গ্রামের অধিবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ,কচুয়া উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও বর্তমান মেয়র মো: হুমায়ুন কবির প্রধান।একনাগারে দুই মেয়াদের মেয়র হুমায়ুন কবির প্রধান ২০০৪ সালে নির্বাচিত হয়ে এখনও মেয়র হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। হুমায়ুন কবির ১৯৮০ সালে কচুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি নির্বাচিত হন।তিনি জানান পৌর সভায় সড়ক বাতি,পৌর বাজার ছাড়া সব সড়কে যান ও জন চলাচলের জন্যে উপযুক্ত।পৌর সভা সদরের রাস্তা গুলি সড়ক ও জনপথ বিভাগের হওয়ায় রাস্থা গুলি খারাপ তারপরও ঈদ উপলক্ষ্যে আমরা খারাপ রাস্থা গুলি মেরামত করে দিব। তিনি আসছে পৌর নির্বাচনে তৃতীয় মেয়াদে মেয়র হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন। তিনি মনে করেন তার দল তাকেই মনোনায়ন দিবে এবং মানুষের ভালবাসার কারনে তিনি দুইবার মেয়র মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন
আহসান হাবিব প্রাঞ্জল
করইশ গ্রামের অধিবাসী আহসান হাবিব প্রাঞ্জল উপজেলা আওমীলীগের সদস্য উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি । তিনি গত দুটি নির্বাচনে মেয়র হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন । ৮৭ সালে কচুয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র লীগের সাধারন সম্পাদক, ৯০ সালে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ৯২ সালে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক, ৯৬ সালে সাধারন সম্পাদক, ২০০১ সালে সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে দশবছর সভাপতি ছিলেন । তিনি জানান, ২০০৪ সালে দলীয় সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে তাকে মারধর করে জেলে দেওয়া হয় ,সে সময় তার মনোনীত ব্যক্তি মনেনয়ন পত্র জমা দিতে গেলে তা ছিড়ে ফেলে তাকে নির্বাচন থেকে দুরে রেখে রাখা হয় । তিনি আশা প্রকাশ করেন জনগন এবং ড.মহীউদ্দীন আলমগীর তাকে সমর্থন দিবেন। তিনি মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যাবস্থা রাস্তাঘাটের উন্নতি বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক, খেলাধুলার ষ্টেডিয়াম, একটি আধুনিক বাসষ্টান্ড স্থাপনে তাঁর অগ্রণী ভুমিকা থাকবে। প্রাঞ্জল জনগনের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন।
জামাল হোসেন
কচুয়া পৌরসভাধীন নিলামপাড়া গ্রামের অধিবাসী জামাল হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি গত পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে প্রত্যাহার করে নেন এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। তিনি রাজনিতির পাশাপাশি ট্রাভেল এজেন্সির ব্যাবসার সাথে জড়িত। তিনি মনে করেন, তৃণমূলের সকল নেতাকর্মীদের সাথে তার ভাল সম্পর্ক রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত তিনি ও তার পরিবার আওয়ামী রাজনিতির সাথে সম্পৃক্ত। ড.মহীউদ্দীন আলমগীরের স্বপ্নের কচুয়া বাস্তবায়নে দল থেকে তিনি মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
মাহবুব আলম
করইশ গ্রামের অধিবাসী মাহবুব আলম উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ।মাহাবুব সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ.ন.ম এহসানুল হক মিলনের একান্ত ব্যাক্তিগত সহকারী ছিলেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে। তিনি জানা বিএনপির তৃনমূলের সকল নেতাকর্মী দলের স্বার্থে আমাকে সমর্থন দিবে। তিনি জানান, আমি নির্বাচিত হলে প্রতিহিংসার রাজনিতি পরিহার করে পারস্পরিক সহবস্তানের মাধ্যমে কচুয়ায় রাজনিতির পরিবেশ ফিরিয়ে আনব এবং পৌরবাসিকে সেবাদানে আমি সম্মত হব।
আহসান হবিব প্রধান
ধামালুয়া গ্রামের অধিবাসী আহসান হাবিব প্রধান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি, তিনি গত পৌর নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সমর্থীত প্রথর্িী হিসেবে প্রতিধ্বন্ধিতা করে বিএনপির সমর্থীত প্রার্থীর নিকট হেরে যান। তিনি জানান, আসছে নির্বাচনে তিনি মেয়র হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন। তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন দল থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
মনির হোসেন প্রধান
করইশ গ্রামের অধিবাসী মনির হোসেন প্রধান উপজেলা যুবলীগের সদস্য। তিনি ৯০ সালে কচুয়া বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক,৯৫ সালে সভাপতি, ৯৭ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের কার্য নির্বাহী সদস্য । তিনি জানান, তৃণমূলের কাউন্সিলরের মতামতের ভিত্তিতে মনোনয়ন দিলে আমি আশাবাদি। নির্বাচিত হলে কচুয়া বাজারকে রাজনিতি প্রভাবমুক্ত, যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি বেকারদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষার হার বৃদ্ধিতে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নিবেন।
আক্তার হোসেন সোহেল ভ’ইয়া
সুলতান ভুইয়া কমপ্লেক্সের স্বত্বাধিকারি আক্তার হোসেন সোহেল ভুইয়া কচুয়া পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত মেয়র জাহিদ হোসেন ভুইয়ার ভাইপো।নিজেদের ব্যবসা পরিচালনার পাশাপাশি আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। স্নাককোত্তর ডিগ্রীধারী সোহেল ভুইয়া সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত। মেয়র নির্বাচনের ব্যপারে তিনি জানান দল থেকে মনোনয়ন পেলে নির্বাচন ক
Leave a Reply