সোমবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিজন সেল থেকে তিনি মুক্তি পান।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ২৩ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা ১০ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পান আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। সর্বশেষ মামলায় জামিনের ফলে তার মুক্তি পেতে বাধা নেই বলে জানান আইনজীবীরা। ওই দিন বিচারপতি নিজামুল হক ও বিচারপতি ফরিদ আহমদ শিবলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। ১০ মামলার মধ্যে চট্টগ্রামে সাতটি, লক্ষ্মীপুরে একটি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি ও ঢাকায় একটি।
এর আগে হাইকোর্টের একই বেঞ্চ থেকে ২৬ মে ৭ মামলায় জামিন পান লতিফ সিদ্দিকী।
প্রসঙ্গত, গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে টাঙ্গাইল সমিতি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পবিত্র হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে কটূক্তি করেন তখনকার ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকী।
লতিফ সিদ্দিকী বলেন, আমি জামায়াতে ইসলামীর যত বিরোধী, তার চেয়েও বেশি হজ ও তাবলিগের বিরোধী। কত ম্যান পাওয়ার নষ্ট হয়, তোমরা বিবেচনা করে দেখো। হজের জন্য ২০ লাখ মানুষ আজ সৌদিতে গেছে। এদের কোনো কাজ নেই। এরা কোনো প্রোডাকশন করছে না, শুধু রিডাকশন করছে, শুধু খাচ্ছে। দেশের টাকা নিয়ে গিয়ে ওদের দিচ্ছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনের পর দেশ ও দেশের বাইরে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। ইসলামি সংগঠনগুলো প্রাক্তন এই মন্ত্রীর বিচার দাবি করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে একের পর এক মামলা দায়ের হয়।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেন সে সময় লন্ডনে অবস্থানরত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১ অক্টোবর মাহবুব উল আলম হানিফ সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
প্রধানমন্ত্রী দেশের ফেরার পর ১২ অক্টোবর দলীয় সভায় লতিফ সিদ্দিকীকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তার প্রাথমিক সদস্য পদও অস্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়।
–
Leave a Reply