রোববার বিকালে ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপি প্রধান খালেদা জিয়া।
ওই বৈঠকের আলোচনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর ঢাকায় সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে এবং এবং মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরোধী-ভারতের এ অবস্থান স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী।”
বিএনপি চেয়ারপারসনও ‘যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে’ অবস্থান জানিয়েছেন।
জয়শঙ্করের ওই প্রেস ব্রিফিংয়ের ট্রান্সক্রিপ্ট পরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
গত বছর দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করে আসা বিএনপি নেতৃত্ব মোদীর সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্রের ঘাটতির’ প্রসঙ্গ এনেছেন বলে এর আগে দলটির নেতারা জানান।
জয়শঙ্কর বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী-খালেদা জিয়ার বৈঠকে অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
“স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থনে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন বিএনপি নেত্রী।
“এ অঞ্চলে অবাধ পণ্য পরিবহনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন তিনি।”
দুই দিনের সফরে শনিবার সকালে ঢাকা আসেন নরেন্দ্র মোদী।
বিকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দুই দেশের শীর্ষ বৈঠক হয়। এতে অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার ১৯টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও সম্মতিপত্র সই হয়।
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ছিটমহল বিনিময়ে স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল বিনিময় করে ভারত ও বাংলাদেশ, যাতে দশকের পর দশক অবরুদ্ধ জীবন কাটানো অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের মুক্তির পথ খোলে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে কলকাতা-ঢাকা-আগরতলা এবং ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি রুটে নতুন বাস সার্ভিস চালু করেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী।
নরেন্দ্র মোদীর সফর উপলক্ষে ঢাকা-নয়া দিল্লির যৌথ ঘোষণায় যে কোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রপন্থার বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করে নিরাপত্তা সহযোগিতায় একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করা হয়েছে।
রোববার রাতে নয়া দিল্লি ফিরে গেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply