কচুয়া উপজেলার গোহট উত্তর ইউনিয়নের নূরপুর গ্রামের মহব্বত আলী বেপারী বাড়ীতে ৮ জুন সোমবার দুপুরে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়। এ অগ্নিকান্ডে ওই বাড়ির ৫ সহোদর মোহাম্মদ উল্ল্যা, সহিদ উল্ল্যা, রহমত উল্ল্যা, আজিজ উল্ল্যা ও আনোয়ার উল্ল্যার ৪টি বড় টিনসেডের বসতঘর, একটি কাচারি, ৩টি পাকঘর ও ২টি গোয়ালঘর পুড়ে ভষ্মিভূত হয়। পুড়ে যাওয়া গৃহ গুলোর পাশ্ববর্তী ফলবর্তী আম, কাঠাল, লিচু, গাছ সহ মুল্যবান বেশ কিছু বৃক্ষও পুড়ে বিনষ্ট হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান প্রায় কোটি টাকার হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, ৭/৮ ভরি ওজনের স্বর্নঅলংকার, মুল্যবান কাপড়-চোপড়, আসবাবপত্র, ফ্রিজ, টিভি, নগদ অর্থ ও মুল্যবান কাগজপত্রাদি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয় মোহাম্মদ উল্ল্যা। তার দু’টি বসতঘর, একটি কাচারি, একটি পাকঘর ও একটি গোয়াল ঘর পুড়ে ভষ্মিভূত হয়। অগ্নিকান্ডের সঠিক কারন জানা যায়নি। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান-দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে মোহাম্মদ উল্ল্যার ঘর থেকে ধোয়া বের হতে দেখে।এসময় মুহুর্তের মধ্যে বাড়িময় সকল ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায়। খবর পেয়ে কচুয়া ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের দমকল বাহিনীর কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে এসে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় ঘন্টাব্যাপী অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। অগ্নিকান্ডের শিকার হওয়া লোকজনরা সকাল ১১ টার দিকে নিমন্ত্রন পেয়ে নোয়াখালী সোনাইমুড়ীতে নিকট আত্মীয়ের বাড়ি রওনা হয়ে যায়। পথিমধ্যে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরে এসে দেখে তাদের সকল স্বহায় সম্পদ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা সর্বস্ব হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে বাস করছে। কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জিয়া আহমেদ সুমন সরেজমিনে এসে অগ্নিকান্ডের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাজাহান শিশির তৎক্ষনিক ব্যক্তিগত ভাবে চাউল, ডাল, তৈল সহ কিছু খাদ্য সামগ্রী ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পাঠান।
Leave a Reply