বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সম্প্রতি অবৈধ পথে বিদেশেগামীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তা প্রতিরোধ করার জন্যই এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। জনশক্তি ব্যুরো, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ (বিএমইটি) মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে বিএমইটি’র কর্মকর্তারা বেসরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির ভিসার ক্লিয়ারেন্স দেয়ার কাজ শুরু করেছেন। খবর দ্য অবজারভারের।
বিএমইটি’র পরিচালক গোলাম মোস্তফা খান বুধবার বলেন, ‘ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় শ্রমিক ভিসার জন্য পাসপোর্ট পাঠানো হবে। মালয়েশিয়ার দূতাবাসের ঢাকা অফিস থেকে ক্লিয়ারেন্স পেলেই বিএমইটি বাংলাদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেবে। জনশক্তি কোম্পানিগুলো তিনদিন ধরে বিএমইটি’র কাছে মালয়েশিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করে আসছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে ভিসার জন্য ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয়নি।’
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশে জনশক্তি রফতানি করতে ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ-মালয়েশিয়ার সরকারের মধ্যে জি টু জি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সরকারের পক্ষ থেকে এই চুক্তির মাধ্যমে প্রতিবছরে মালয়েশিয়ায় ৫০ হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে এই চুক্তির পরে মাত্র ৮ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক সরকারিভাবে মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply