কচুয়াবার্তা ডটকম
আলমগীর তালুকদার : আরবি শাবান মাস চলছে। চলছে মাহে রমজানের প্রস্তুতি। শাবান মাসে মুমিনরা ইবাদতের ফসল বোনে; সওয়াবের বসন্তকাল রমজানে ফসল ঘরে তোলে। শাবান মাসের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। আছে ইবাদতের আলাদা গুরুত্ব। রমজানের আগাম বার্তা বহন করে শাবান মাস। রমজানের মুমিনের আÍিক ও মানসিক প্রস্তুতির মাস সম্পর্কে মহানবী (সা.) বলেছেন, হজরত আয়েশা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে রমজান ব্যতীত অন্য কোনো মাসে পূর্ণ এক মাস রোজা পালন করতে দেখিনি। কিন্তু শাবান মাসে তিনি বেশি নফল রোজা রেখেছেন। মুসলিম শরিফ
অন্য হাদিসের ভাষ্যÑ শাবান মাস ছাড়া অন্য কোনো মাসে নবিজী (সা.) এত অধিক হারে নফল রোজা আদায় করতেন না। বুখারি শরিফ
মহানবী শাবান মাসে অধিক হারে রোজা রাখার এই আমল ছিল রমজানের ফরজ রোজার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। হজরত আনাস (রা.) বলেছেন, নবী করিম (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলোÑ আপনার কাছে মাহে রমজানের পর কোন মাসের রোজা উত্তম? তিনি বললেন, শাবানের রোজা উত্তম। কেননা শাবান হলো রমজানের পূর্বাভাস। তিরমিজি
শাবান ছিল মহানবী (সা.)-এর প্রিয় একটি মাস। এই মাসের বরকতের জন্য নবিজী বিশেষ দোয়া শিখিয়েছেন উম্মতকে। শাবানের আগেই তিনি গুরুত্বসহ দিনগুনতে থাকতেন। কবে আকাশে শাবানের চাঁদ উদয় হবে।
হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, মহানবী সা. শাবান মাসের চাঁদের কথা অধিক যতেœর সঙ্গে স্মরণ রাখতেন, যা অন্য মাসের বেলায় হতো না। মুসনাদে আহমাদ
রজব ও শাবান মাস উপলক্ষে তিনি বিশেষ প্রার্থনা করতেনÑ হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রজব ও শাবান মাসের বিশেষ বরকত দান করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। মুসনাদে আহমাদ
শাবান মাস গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আরো একটি কারণ হলোÑ এই মাসের ১৫তম রজনী পবিত্র শবেবরাত। পবিত্র শবেবরাতের গুরুত্ব সম্পর্কে হজরত মুয়াজ ইবনে জাবাল রা. সূত্রে মহানবী (সা.) বলেন, আল্লাহ তায়ালা মধ্য শাবানের রজনীতে মানুষের প্রতি বিশেষ নজর দেন। এই রাতে সবাইকে ক্ষমা করে দেন, তবে যারা আল্লাহর সঙ্গে কাউকে অংশীদার সাব্যস্ত করে এবং অপরকে ক্ষতি সাধনের বাসনা পোষণ করে তাদের ক্ষমা করেন না। ইবনে হিব্বান
ক্ষমার এই রজনী আমাদের ভেতর-বাহির ধুয়েমুছে সাফ করে দিক। সাদা মন ও পরিচ্ছন্ন বদন নিয়ে আমরা যেন বরণ করতে পারি পবিত্র রজমানুল মোবারককে!
Leave a Reply