নিজস্ব সংবাদদাতা,কচুয়া,চাঁদপুর,১৯মে॥
কচুয়া উপজেলার গোহাট উত্তর ইউনিয়নের আওতাধীন নাউলা আশ্রায়ন কেন্দ্র। চারটি নির্মিতটিন সেডে ৪০টি পরিবারের বসবাস এ আশ্রয় কেন্দ্রে।এখানে প্রায় ২৫০ জন লোকের বসবাস। সরকারী অর্থায়নে খাস জমিতে ছিন্নমুল ,অসহায় ও দুস্থ ভ’মিহীনদের জন্যে দুই হাজার সালে নির্মিত কেন্দ্রে এ পরিবারগুলোর মাথা গুজার ব্যবস্থাকরে দেওয়া হয়।যেখানে একটি মসজিদ,মিলনায়তন,খাবার পানির জন্য চাপ কল,বিদ্যুত ও ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বর্তমানে বসবাসের অযোগ্য অসহায়দের এ আবাসন প্রকল্প । সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় কয়েকসারিতে নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্র পরিবেশ মোটামুটি সুন্দর। কিন্তু টিনের ছালার দিকে তাকালেই দেখা যায়, প্রায় ঘরের উপরে প্রবাহিত বাতাসের সাথে পলিথিন উড়ছে, ঝনঝনানী শব্দ। এর মধ্যে কেউ বাঁশের টুকরা ছালার উপর দিয়ে থাকলেও তা বাতাসের সাথে পড়ে যাচ্ছে। ঘরের ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায় সূর্যের আলো পড়ে আছে শোয়ার বিছানার উপরে। উপরে দিকে তাকালেই চোখে পড়ে টিনের ছালার মাঝে বড় বড় ছিদ্র। টিনের উপরে মরিচা পড়ে টিনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। একটুখানি বৃষ্টি এলেই পানিতে সয়লাভ হয়ে যায় পুরো ঘর। আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসরত অনেকেরই দুবেলা দুমুঠো ভাত খাওয়ার ভাগ্যে জোটে না। অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করেই চলছে এ অসহায় পরিবারগুলোর অনেকেই। যারা এ অসহায়ত্ব জীবন যাপন করছে তাদের মাথাগুজার ঠাঁইটুকুর উপর দিয়ে নতুন টিন লাগানোর সামর্থ নেই ।কিন্তু কালবৈশাখীর তান্ডব আর বর্ষার আগমনের বার্তা তাদেরকে শংকিত করে তোলে । এমতাবস্থায় ঘরগুলো সংস্কার করা আবশ্যক। তাছাড়া ল্যাট্রিন গুলো সংস্কার না করায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অপরদিকে কেন্দ্রের লোকজনের সমাধির জন্য রাখা জায়গাটুকু প্রভাবশালী লোকের দখলে চলে যাবার আশংকা করেছে কেন্দ্রের লোকজন।
তাই ভরপুর বর্ষা শুরুর আগেই ছিন্নমুল ৪০টি পরিবারের মাথাগুজার একমাত্র ঠাঁই পাওয়া নাউলা আশ্রয়কেন্দ্র জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করতে যথাযথ কতৃপক্ষের হস্থক্ষেপ কামনা করছে আশ্রয় কেন্দ্রবাসী।
কচুয়া :নাউলা আশ্রয় কেন্দ্র বসবাসরত লোকজন ও পাশে ব্যবহারের অনুপযোগী ল্যাট্রিনের একাংশ ।
Leave a Reply