নিজস্ব সংবাদদাতা ॥
কচুয়ার মৃৎশিল্প বিলুপ্তির পথে । ্উপজেলার পশ্চিম সহদেবপুর ্ইউনিয়নের দারাশাহী তুলপাই পাল বাড়ি ও বিতারা পাল বাড়ির প্রায় ২৫টি পরিবার এখনও মাটি দিয়ে কলসী,ভাত রান্নার পাতিল,পিঠা তৈরীর সরঞ্জাম,মাটির ব্যাংকসহ হরেক রকম নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি তৈরী করে ধরে রেখছে প্রায় একশত বছরের পারিবারিক এ কুমার পেশা ।দারাশাহী তুলপাই পাল বাড়ির ষাটর্ধে শ্রীধাম চন্দ্র পাল জানান জম্মের পর থেকে বংশ পরস্পরায় এ কাজ শিখে আসাছি অন্য কাজ না শিখার কারনে ছাড়তেও পারছিনা না কুমার পেশা । অন্য কাজ না শিখার কারনে স্ত্রী,ছেলে,মেয়ে সবাই এ কাজে অভ্যস্ত । প্লাস্টিক সামগ্রী বাজার সয়লাব করার সাথে সাথে মাটির তৈরী নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদি তৈরী চাহিদা কমতে শুরু করেছে । তাছাড়া যে এটেল মাটি মৃৎশিল্পের প্রধান উপকরন তাও এখন বেশী দামে কিনে আনার কারনে দাম বেড়ে গেছে মাটির তৈরী দ্রব্যাদির।পক্ষান্তরে মাটির পন্যের এখন বাজারে যা চাহিদা আছে তাতে তাদের জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে ।। তাছাড় তাদের ছেলে মেয়েদেরকেও কুমার পেশায় ধরে রাখা সম্বব হচ্ছেনা । ফলে হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প সরকার মাটির তৈরী এসব পন্যকে শিল্প হিসাবে গন্যকরে সহজ শর্তে বিনিয়োগ সুবিধা দেওয়ার উদ্যোগ নিলে মৃৎশিল্প বাচিয়ে রাখা সম্বব।
কচুয়া: কচুয়ার দারাশাহী তুলপাই পাল বাড়ির কুমারদের মৃৎশিল্পের একাংশ
Leave a Reply