প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, জুলাই-আগস্ট সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কথা ভাবা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত দিন তারিখ ঠিক করবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
ইসির যুগ্মসচিব জেসমিন টুলী বলেন, “২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকদের নিবন্ধনের বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
মঙ্গলবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সভাপতিত্বে কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তিনি।
বর্তমানে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সীদেরই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়।
সরকার ১৮ বছরের কম বয়সীদেরও জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন’করায়
সি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ প্রথম ধাপে ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সীদের তথ্য সংগ্রহের প্রস্তাব রাখছে।
বছরের শুরুতে হালনাগাদের সময় বরাবরের মতো ভোটারযোগ্যদের তথ্য সংগ্রহ, তালিকাভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। তবে ১৫, ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে জুলাই-আগস্ট সময়ে।
একবার এ তালিকায় নাম আসার পর ১৮ বছর বয়স হলেই তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকাভুক্ত হবেন।
পর্যায়ক্রমে ১৫ বছরের কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহেরও পরিকল্পনা রয়েছে বলে ইসির এনআইডি উইংয়ের এক কর্মকর্তা জানান।
২০১৩ সালের ৬ অক্টোবর দেশের সব নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার বিধান রেখে বিল পাস করে সংসদ। এর ফলে ভোটার না হলেও ১৮ বছরের কম বয়সীদের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার পথ তৈরি হয়।
এরপরই গত বছর জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগকে ১৮ বছরের কম বয়সীদের পরিচয়পত্র দেওয়ার বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপনে নির্দেশ দেয় ইসি।
১৬ কোটির বেশি জনসংখ্যার বাংলাদেশে বর্তমানে ভোটার তালিকায় রয়েছে ৯ কোটি ৬২ লাখ নাম। গত বছর ভোটার তালিকা হালনাগাদে ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে জন্ম নেওয়া নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে ইসি।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক সুলতানুজ্জামান মো. সালেহ উদ্দীন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আঠারো বছরের কম বয়সী নাগরিকদের নিবন্ধন সংক্রান্ত বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করে আমরা গণমাধ্যমে জানাব। জুলাই থেকে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিন ধাপে ৭২ লাখ নিবন্ধনের লক্ষ্য
কমিশন সভায় আঠারোর কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহে তিন ধাপে কাজ করার প্রস্তাব তুলে ধরে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১ অগাস্ট থেকে ১৪ অগাস্ট, ১ অক্টোবর থেকে ১৫ অক্টোবর এবং ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তথ্য সংগ্রহ চলবে।
২০১৬ সালের ২ মের মধ্যে এ নিবন্ধন শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।
২০১৭-১৮ সালে এসব নাগরিক ভোটারযোগ্য হলেই এ সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
Leave a Reply