ডেস্ক রিপোর্ট : দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেনি ছিটমহলবাসীরা। সর্বশেষ ১৯৯০ সালে ৪০ হাজার ছিটমহলবাসীর নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এরপর যতবারই ভোটার তালিকা তৈরি হয়েছে ততবারই আইনী জটিলতার কারণে তাদেরকে ভোটার করা হয়নি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ-ভারতের স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের সংবিধান সংশোধনী বিল রাজ্যসভা ও লোকসভায় পাস হয়েছে। ফলে ছিটমহলের অধিবাসীরা ভোটার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। শিগগিরি তাদেরকে ভোটার করার জন্য হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক বলেন, ছিটমহল বিনিময়ের সিদ্ধান্ত কার্যকর হলেই ছিটমহলের অধিবাসীদের ভোটার করা হবে।
ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছিটমহলে প্রবেশের ক্ষেত্রে শিথিলতা থাকায় সর্বশেষ ১৯৯০ সালে ছিটমহলবাসীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। ওই সময়ে ৩৩টি ছিটমহলের বাসিন্দাকে ভোটার তালিকার আওতাভুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। তার মধ্যে কুড়িগ্রামের ১৮টি, পঞ্চগড়ের ১১টি এবং লালমনিরহাটের ৪টি ছিটমহল ছিল। এসব ছিটমহলের ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় ৪০ হাজার। দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা ২৪ ঘন্টা খোলা থাকায় এ ছিটমহলে প্রবেশের কোন বাধা না থাকায় সেখানকার অধিবাসীদের হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ছিটমহলবাসীসহ যারা ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেনি তাদেরকে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল মোবারক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিউদ্দীন আহমদের কাছে নোটিস পাঠিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন।
Leave a Reply