1. ashraful.shanto@gmail.com : Ashraful Talukder : Ashraful Talukder
  2. newstalukder@gmail.com : Alamgir Talukder : Alamgir Talukder
শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৫ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের দেশের সীমানা এখন ৫৬ হাজার বর্গমাইল প্লাস কচুয়া বার্তা ডটকম : ০৭/০৫/২০১৫

  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০১৫
  • ২০০৯ বার পড়া হয়েছে

simanaনিজস্ব সংবাদদাতা  ॥ ভারতের লোকসভায় স্থল সীমান্ত বিল পাস হওয়ায় বাংলাদেশ পাবে ১৭ হাজার ২৫৮ একর জমি এবং ভারত পাবে ৭ হাজার ১১০ একর জমি। দুই দেশের ছিটমহল বিনিময়ে বাংলাদেশ ১০ হাজার একর জমি পাচ্ছে। ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে জনগণের ভাগ্যান্নয়ণ হয়, মানুষ নিরাপদে থাকে।’ প্রধানমন্ত্রীসহ সিনিয়র নেতারা প্রায়ই এধরনের বক্তব্য দিয়ে থাকেন। ১০ হাজার একর জমি উদ্ধার হওয়ায় এখন আওয়ামী লীগের নেতারা সহজেই বলতে পারেন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসলে দেশের জমিও বাড়ে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে দীর্ঘ ২১ বছর পর ৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের প্রথম সরকারের চেয়ে অনেক বেশি সফলতা নিয়ে আসে ২০০৯ সালের সরকার। আর এরই ধারাবাহিকতায় চার দশকের জমে থাকা সমস্যার সমাধান করে শেখ হাসিনা দেশবাসীকে আরেকবার জানিয়ে দিলেন দেশের উন্নয়ন আওয়ামী লীগের দ্বারাই সম্ভব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ভারতের লোকসভায় স্থলসীমান্তচুক্তি পাশ বর্তমান সরকারের বড় কূটনৈতিক সফলতা।
যিনি এই সফলতার প্রকৃত দাবিদার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সে সম্পর্কে  ৭মে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ভারত স্থলসীমান্ত চুক্তি বিল পাস বর্তমান সরকারের বড় কূটনৈতিক সাফল্য। তিনি বলেন, সীমান্ত চুক্তি পাস হওয়ার ফলে ভারতের কাছ থেকে কিছু অতিরিক্ত জমি পাওয়া যাবে।
এরআগে ২০১২ সালের ১৫ মার্চ ইটলস বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সীমানা চিহ্নিত করে দেয়। এতে বঙ্গোপসাগরে এক লাখ ১১ হাজার ৬৩১ বর্গকিলোমিটারের ওপর বাংলাদেশ অধিকার লাভ করে। আর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সমুদ্রসীমা নির্ধারিত হওয়ায় বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সমুদ্র সীমানা ও স্থল সীমানায় বাংলাদেশের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করে দেশের মানুষকে যেমন করেছে সম্মানিত তেমনি বিশ্ব দরবারে দেশের ভাবমূর্তিকেউ উজ্জল করেছে।
স্থল সীমান্ত চুক্তিটি বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের চার রাজ্য- আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গের সীমানারেখায় পরিবর্তন আসবে। একই সঙ্গে ছিটমহল সমস্যা, অপদখলীয় ভূমি ও অচিহ্নিত সীমানা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।
সীমান্ত বিল বাস্তবায়নের ফলে ভারত বা বাংলাদেশ কোন দেশ বেশি জমি পাবে বা জমি হারাবে এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে গত বছর সচেতনতা বাড়াতে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, বাংলাদেশের ভেতর থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল (১৭ হাজার ১৬০.৬৩ একর) বাংলাদেশকে দেবে ভারত। অন্যদিকে ভারতের মধ্যে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল (সাত হাজার ১১০.০২ একর) বাংলাদেশ দেবে ভারতকে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই পুস্তিকায় বলা হয়েছে, কাগজের হিসেবে ছিটমহল বিনিময়ের ফলে বাংলাদেশের কাছে ভারতের জমি হারানোর মতো বিষয় মনে হলেও বাস্তব প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। ছিটমহলগুলো অন্য দেশের ভূখ-ের মধ্যে অবস্থিত। বাংলাদেশ বা ভারত কোনো দেশের সঙ্গেই ছিটমহলগুলোর ভৌত যোগাযোগ নেই। বিনিময়ের ফলে ভারতের মধ্যে থাকা ছিটমহলগুলো ভারতের সঙ্গে যুক্ত হবে আর বাংলাদেশের মধ্যে থাকা ছিটমহলগুলো যুক্ত হবে বাংলাদেশের সঙ্গে। বাংলাদেশের প্রাপ্য ছিটমহল বেশি হওয়ায় নতুন মানচিত্রে দেশের আয়তন বাড়বে।
দেখা যাবে, কোথাও ভারতের সীমানারেখা বাংলাদেশের বর্তমান সীমানার ভেতর ঢুকে গেছে। আবার ভারতের সীমানার ভেতরও কোনো কোনো স্থানে বাংলাদেশের সীমানারেখা ঢুকে যাবে। ছিটমহল বিনিময়ের ফলে ভারত যে ১০ হাজার একর জমি বেশি হারাবে, সে জন্য কোনো ক্ষতিপূরণ পাবে না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায় মাল্টিকেয়ার