কচুয়া বার্তা ডট কম ॥এক গুচ্ছ ‘উপহার’ নিয়ে আগামী জুনে বাংলাদেশে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ জন্য তিনি স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নসহ আরো কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন। তবে বাংলাদেশের জন্য মোদির এ ‘উপহারে’ থাকছে না দীর্ঘ প্রতিক্ষিত তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি। বিজেপির এক শীর্ষনেতা জানিয়েছেন এমন তথ্য।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের জন্য ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে দু’দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মোদির ঢাকা সফরকে সামনে রেখে মঙ্গলবার ভারতের মন্ত্রিসভায় আসামকে রেখেই স্থল সীমান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বুধবার এটি রাজ্যসভায় অনুমোদনের পর কাল উঠবে লোকসভায়। এটি পাশ হলে ছিল মহল বিনিময়ের সব বাধা কটে যাবে। তাই মোদি চাচ্ছেন চুক্তিটি পাশের পরই ঢাকায় আসবেন। এ জন্য তিনি জুন মাসে ঢাকা সফরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কূটনৈতিক সূত্রে বলছে, ক্ষমতা গ্রহণের পর মোদি প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের নানা উদ্যোগ নেন। তারই অংশ হিসেবে প্রতিবেশি দেশগুলো সফর শুরু করেন তিনি। ঢাকা সফরে
আসতেও মোদি খুব আগ্রহী। কিন্তু নানা জটিলতায় দেশটির সংসদে স্থল সীমান্ত চুক্তি বিলটি পাস হতে দেরি হচ্ছে। তাই মোদির সফরও পিছিয়ে যাচ্ছে। কারণ মোদি খালি হাতে ঢাকা সফরে আসতে চান না। তাই এবার তাড়াহুড়ো করেই বিলটি পাস করার কাজ চলছে।
আগামী ৮ মে লোকসভার চলতি অধিবেশন শেষে চীন, মঙ্গোলিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়া সফরে যাচ্ছেন মোদি। এরপর জুন মাসের শেষ সপ্তাহে তিনি ঢাকা সফরে আসতে চান। সব কিছু ঠিক থাকলে তিনি দু’দিনের ঢাকা সফরে আসবেন।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর উপলক্ষে ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে দু’দেশ। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা সচিব পর্যায়ের বৈঠক হতে পারে। দ্বিপাক্ষিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা হবে। ভারতের পক্ষ থেকে নতুন করে আরো ১০০ কোটি ডলার ঋণ সহায়তা বিষয়ে চুক্তি সই হতে পারে এই সফরে।
২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সফরের সময় ঢাকা ঘোষণাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে এবারের সফরেও। তবে তখনকার ঢাকা ঘোষণার অনেক সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন অনেকটা পিছিয়ে আছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নরেন্দ্র মোদির সফর উপলক্ষে কাজ শুরু হয়েছে। মোদির সফর নিয়ে এখন দিন তারিখ চূড়ান্ত না হলেও জুনের মাঝামাঝি থেকে শেষ সপ্তাহকে সামনে রেখে কাজ চলছে। তারই অংশ হিসেবে ‘কোস্টাল শিপিং অ্যাগ্রিমেন্ট’ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তিটি মোদির সফরের সময় সই হবে। ভারতের সংসদে স্থল সীমান্ত চুক্তি অনুমোদন হলেই সফরসূচি চূড়ান্ত করা হবে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply