শুক্রবার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ২৯৬ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বাংলাদেশ। তামিম ও ইমরুলের জোড়া শতকে চাপ আর পরাজয়ের শঙ্কা পেছনে ফেলে স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের পক্ষে যে কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়ে ২৭৩ রান করে অবিচ্ছিন্ন আছেন তামিম-ইমরুল।
এর আগে বাংলাদেশের ৩৩২ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ৬২৮ রান করে পাকিস্তান। আগের দিনের ৫ উইকেটে ৫৩৭ রান নিয়ে খেলতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে বাকি ৫ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান তোলে তারা।
১৮৩ বলে ৬ চারে ৮৩ রান করা শফিক দিনটি তাদের ছিল না বলে মনে করেন।
“আমি মনে করি, (এই টেস্টে) আমরা আজকের (শুক্রবার) তিনটি সেশনে পরাজিত হয়েছি। কারণ, গতকাল পর্যন্ত আমরা খুব ভালো খেলেছি এবং ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলাম। কিন্তু আজ বাংলাদেশ সত্যি ভালো খেলেছে, বিশেষ করে তাদের ব্যাটসম্যানরা।”
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা বলতে আসলে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ও ইমরুল। চতুর্থ দিনে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দুই সেশনের বেশি সময় পার করে দেন এ দুজন।
দিন শেষে তামিম ১৮৩ বলে ১৩৮ রান করে অপরাজিত আছেন। অসাধারণ এই ইনিংসটি ১৩টি চার ও চারটি ছক্কায় সাজান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। আর ইমরুল তার ক্যারিয়ার সেরা ১৩২ রান করে উইকেটে আছেন। তার ১৮৫ বলের ইনিংসটি ১৫টি চার ও তিনটি ছক্কায় সাজানো।
২৩ রান পিছিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ বাঁচানোর জন্য পঞ্চম ও শেষ দিনে বাংলাদেশের হাতে এখনও পুরো দশটি উইকেটই আছে।
বাংলাদেশের এমন ব্যাটিং দেখে অবাক বনে গেছে পাকিস্তান দল।
“বাংলাদেশের কাছ থেকে আমরা এমন ব্যাটিং আশা করিনি। তারা খুব আক্রমণাত্মক ছিল এবং আমাদের বোলারদের ওপর চাপ দিয়েছে।”
দ্বিতীয় ইনিংসে ভিন্ন চেহারায় আবির্ভূত হওয়া বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কি তাহলে ছোট করে দেখেছিল পাকিস্তান? এই প্রশ্নে শফিক না-বোধক উত্তরই দেন।
“আমরা তাদের ছোট করে দেখিনি। ওয়ানডে সিরিজ থেকে জেনেছি, তারা খুব ভালো ব্যাটসম্যান এবং তাদের ব্যাটিং শক্তি সম্পর্কেও জেনেছি। আমি বলতে চেয়েছি, তারা আমাদের বোলারদের আক্রমণ করেছে এবং এটাই আমরা আশা করিনি। আমাদের বোলাররা চাপে পড়ে গেছে এবং এ কারণেই বেশি রান দিয়েছে।”
Leave a Reply