কচুয়া বার্তাডটকম
নিজস্ব সংবাদদাতা
: ভারতে জোর আলোচনা চলছে, শিগগির এই অঞ্চল থেকে উটের আবাদ শেষ হয়ে যাবে। উট পালন ব্যবস্থা সহজ না হওয়া এবং গরুর গোসতের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় উট কমতে শুরু করেছে সেখানে।
২০১২ সালে ভারতের উট সামারিতে দেখা যায়, ২০০৭ সালের তুলনায় ২২ থেকে ৮৪ শতাংশ উট পালন কমে গেছে। ধারণা অনুযায়ী বর্তমানে ভারতে উট রয়েছে চার লাখ। পুরো ভারতের চেয়ে রাজস্থানে উটের আবাদ হয় ৩৭ থেকে ৮১ শতাংশ। এজন্য রাজস্থানকে বলা হয় উটের রাজধানী।
২০১২ সালের সামারিতে দেখা গেছে, রাজস্থানে উট ছিল ২৫ লাখ। সেখানে বর্তমানে ২ লাখ উট রয়েছে। এ সংখ্যা কমতির দিকেই যাচ্ছে দিন দিন।
সরকারি এ সামারি যদি মানা হয় তবে বলতেই হবে, ভারত থেকে উট বিলুপ্ত হতে চলেছে।
১৯৮৪ সালে ভারতের ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার উটের দেখভালের জন্য একটি কমিটি করে। সেই কমিটির পরিচালক নুতন প্যাটেল বলেন, উটের এই বিলুপ্তি রোধ করতে না পারলে ভারত অনেক দিক থেকে ক্ষতির সম্মুখিন হবে।
উট কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ রয়েছে। তা হলো, পাচারকারী একটি নেটওয়ার্ক এর পেছনে কাজ করছে। বাংলাদেশসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ভারতীয় উটের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বেশি দাম পাওয়ায় এগুলো এখান থেকে অনায়াসে বাইরে চলে যাচ্ছে।
উটের এই ক্রমহ্রাস ঠেকাতে রাজস্থান সরকার একটি আইনও করে। উট পাচার করলে বা হত্যা করলে পাঁচ বছরের জেল দেওয়া হবে। রাজস্থানের কৃষি ও প্রাণী বিশেষজ্ঞ ভিলাল সিনাই বলেন, এই আইনটি উটের সুরক্ষার জন্যই করা হয়েছে। কিন্তু রাজস্থানের অধিকাংশ লোকজনই এই আইনের তোয়াক্কা করছে না।
হানুত সিং ঠাকুর নামের এক বাসিন্দা বলেন, যদি সরকারের এই হুকুম মানা হয়, তবে রাজস্থানে যারা কয়েক হাজার উট পালন করছে, তাদের কী হবে?
এই সঙ্কটের মোকাবিলায় ন্যাশনাল রিসার্চ সেন্টার একটি সমাধান দিয়েছে, সেটা হলো এখন থেকে বিভিন্ন পণ্যের মতো ব্যাপকভাবে উটের দুধ রপ্তানি করা হবে।
কিন্তু এই পদ্ধতি মরুভূমির জাহাজ খ্যাত উটের আবাদ বৃদ্ধি করে কৃষকদের জন্য ফায়দা বয়ে আনবে তো? তা নিয়েও শুরু হয়েছে জোর গুঞ্জন।
সূত্র : বিবিসি উর্দু
Leave a Reply