কচুয়াার্তাডটকম:
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামলেও তাকে বাড়তি চ্যালেঞ্জ মনে করছেন না ঢাকা উত্তরের মেয়র প্রার্থী আনিসুল হক। গতকাল রোববার দুপুরে মিরপুর, কল্যাণপুর বস্তিতে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়া মাঠে নামবেনÑ এটাই স্বাভাবিক। আমি এতে বাড়তি কোনো চাপ অনুভব করছি না। ভোটাররা অবশ্যই সঠিকভাবে দেখে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। তাই আমি শঙ্কিত নই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শহরের সমস্যাগুলো আমি জানি। এ জন্যই বলছি সমস্যা চিহ্নিত, এবার সমাধানযাত্রা। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন, মাত্র ৫ লাখ গাছ লাগানো গেলে শহরের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি কমিয়ে আনা সম্ভব। এ জন্য মাত্র ১১৭ কোটি টাকা লাগবে। তাই নির্বাচিত হলে এই শহর সবুজ বানিয়ে দেবো।
এর আগে মিরপুর বাংলা কলেজের সামনে থেকে দিনের গণসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেন আনিসুল হক। তিনি বাংলা কলেজের সামনে গিয়ে গড়ি থেকে নামলেও সে সময় তার সঙ্গে যোগ দেন মাত্র ১৫ থেকে ২০ জন দলীয় নেতাকর্মী। অবশ্য বস্তি এলাকায় প্রবেশ করতেই স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হকের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী গণসংযোগে অংশ নেন।
পরে পুরো এলাকা ঘুরে বেলতলা বস্তি মাঠে পথ সভায় শতাধিক বস্তিবাসীর উদ্দেশে আনিসুল হক বলেন, আপনারা হয়তো আমাকে চেনেন না, দেখেননি। আমি ব্যবসায়ী ও সংগঠক হিসেবে ২৫ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছি। সৎ মানুষ বলে আমার সুনাম আছে। এই সুনাম কোনোভাবেই নষ্ট করবো না, নষ্ট হতে দেবো না। বরং জনগণের পাশে থেকে ৫ বছর কাজ করতে চাই। আপনারা নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে যাকে যোগ্য মনে করেন, যে পাশে থেকে আপনাদের জন্য কাজ করবে বলে মনে হয় তাকেই ভোট দেবেন।
তবে আনিসুল হকের বক্তব্য চলাকালে বয়স্ক দুই মহিলা ক্ষিপ্ত হয়ে কথা বলার চেষ্টা করলে কয়েক যুবক তাদের সরিয়ে দেন। অবশ্য তখনো তাদের কথা চলছিল ঠিকই। কাছে গিয়ে জানা গেল আনুয়ারা ও সেলিনা বেগম নামে দুই বোন। তারা থাকেন কল্যাণপুরের বস্তিতেই। সেলিনা বলেন, দেখছি ভোটের সময় হলেই তারা আসে। এরপর আর কোনো খবর থাকে না। এমন কথা বলছেন কেনÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগ অনেককে ভোট দিছি, তখন তাদের গলায় নিজের হাতে ফুলের মালাও পরিয়েছি। কিন্তু এর পর আর খবর নেয়নি। হয়নি বস্তির রাস্তা-ঘাটও।
বস্তি মাঠের পথ সভা শেষে আনিসুল হক কল্যাণপুর মার্কেট ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনসংযোগ চালিয়ে এক ফাঁকে ছুটে যান মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিতীয় ওয়ানডের খেলা দেখতে। আর কিছুক্ষণ খেলা দেখে বিকালে মিরপুর ১৩ নম্বরে এক পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখান থেকে যান রূপনগর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নির্বাচনি জনসভায়। এতে আনিসুল হক ছাড়াও টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ভোট চেয়ে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী মোল¬া, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ। এসময় প্রায় দুই শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply