নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বরণের মধ্য দিয়ে মতলব উত্তরে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভার শুরুতেই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ মঞ্জু, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফা আকতার ও ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সরকার ইমনকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম মনিরুজ্জামান, কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম মজুমদার ও আনসার ভিডিপির পরিদর্শক মাহমুদা আকতার মুক্তা। পরে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতি, ইউপি সচিব সমিতি, উপজেলা ছাত্রলীগ ও ছেংগারচর পৌরসভার পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা জানানো হয়।
গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ মঞ্জু। উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ আকতার হোসেন খানের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সভা আরম্ভ হয়। এরপর দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে মতলব উত্তর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম জানুয়ারি, ফেব্র�য়ারি, মার্চ ও এপ্রিল মাসের মামলা ও আইনশৃঙ্খলার চিত্র তুলে ধরেন।
সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফা আকতার, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সরকার ইমন, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম জর্জ, মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক চৌধুরী বাবুল, এখলাছপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোসাদ্দেক হোসেন মুরাদ, কলাকান্দা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কাদির মোল্লা, বাগানবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নান্নু মিয়া, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ, ফতেপুর পূর্ব ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ মঞ্জুর সভাপ্রধানে ও সঞ্চালনায় পরে একই স্থানে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম মনিরুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফা আকতার, ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম সরকার ইমন, উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি ও মোহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হক চৌধুরী বাবুল, ছেংগারচর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব রফিকুল আলম জর্জ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিন খান, ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোসাদ্দেক হোসেন মুরাদ, গোলাম কাদির মোল্লা, একেএম শরীফ উল্লাহ সরকার, আজমল হোসেন চৌধুরী, দেওয়ান আবুল খায়ের, নূর মোহাম্মদ, জোবায়ের আজিম পাঠান স্বপন, দেলোয়ার হোসেন দানেশ, আলী আক্কাছ বাদল, লিয়াকত আলী, মোহাম্মদ নান্নু মিয়া, সাজেদুল হাসান বাতেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহ আলম মোল্লা, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গিয়াসউদ্দিন ইবনে রহমান, কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম মজুমদার, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ এনামুল হক, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মনিরুল ইসলাম, নির্বাচন অফিসার কাজী হেকমত আলী, বিআরডিবি কর্মকর্তা মোঃ ইসরাইল হোসেন, সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইমরান হোসেন চৌধুরী, সমাজসেবা কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আবদুল হান্নান, আনসার ভিডিপি পরিদর্শক মাহমুদা আকতার মুক্তা, শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আল-আমিন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী আবদুল ওয়াহিদ মোঃ সালেহ, পিআইও মোঃ বেলাল হোসেন প্রমুখ।
বক্তব্যের শুরুতে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুর আহমদ মঞ্জু উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের নাম �মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম� মিলনায়তন নামকরণ করার প্রস্তাব করলে সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তা গৃহীত হয়। বক্তব্যে তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপির নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মতলবে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমরা সবাই মিলে সে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডগুলো বাস্তবায়নে কাজ করবো। মতলব উত্তরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করার জন্য সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা যারা জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছি, আমাদের প্রত্যেকের কাজ হলো সরকারে প্রশাসনের প্রতিটি কর্মকাণ্ড স্থানীয়ভাবে তদারকি করা। তদারকি করলে সরকার যে কাজগুলো করছে তা জনগণ জানতে পারবে। স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়নের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকার কি কি কাজ করছে তা জনগণকে জানানোর জন্য উপজেলা বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মে মাসের মধ্যে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সভা করা হবে। রাজনৈতিক দলের লোকজন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যোগাযোগ খাতে উন্নয়ন ও মতলব উত্তর দল-মত নির্বিশেষে একটি আধুনিক উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাকে প্রথমে নিয়ম-নীতি মেনে চলতে হবে। তা না হলে অন্যরা আমার কথা মানবে না। আমাদের আগের ভালো কাজের অনুসরণ ও খারাপ দিকগুলো বর্জন করার চেষ্টা করতে হবে। মাদক ও সন্ত্রাসীদের নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে অযথা নিরীহ লোককে হয়রানি না করার জন্য তিনি পরামর্শ দেন। মাদক ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। আমরা সবাই মিলে যদি এ কাজগুলো করতে পারি তাহলে আমাদের এলাকায় মাদক থাকবে না। মাদকের কারণে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে।
Leave a Reply