কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের মাঝিগাছা গ্রামের আঃ জলিল(৫৫) করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গিয়েছে। ১৫ জুন রাতে আ:জলিল নিজ বাড়িতে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। স্বজন-প্রতিবেশীরা কেউ দাফনের কাজে এগিয়ে না আসায় ১৬জুন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপায়ন দাস শুভ’র নির্দেশনায় ইসলামী ফাউন্ডেশনের ৫ সদস্যের একটি টিম জানাজা-দাফন কাজ সম্পন্ন করেন।
পরিবারের অন্য সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করে দাফনের পরই কচুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ অলি উল্লাহ এর নির্দেশনায় এস আই আনোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মৃত আঃ জলিলের বাড়ি লকডাউন করে দেয়।
ছবি: কচুয়ার মাঝিগাছায় আ: জলিলের জানাজর একাংশ
তছাড়া রহিমানগর বাজারে বসবাসরত প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আ: মুন্সির স্ত্রী মমতাজ বেগম করোনা আক্রান্ত। সার্বিক বিবেচনা করে ১৫জুন থেকে ২২জুন পর্যন্ত ৭ দিনের জন্যে রহিমানগর বাজার লক ডাউন করে দেওয়া হয়েছে। বাজারে প্রবেশের সকল রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু জরুরী সেবা ও ওষুধের দেকান সমূহ বাজার কমিটির পরমর্শে খোলা রাখার সিদ্বান্ত দিয়েছে প্রশাসন। পক্ষান্তরে পালগিরি গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মানিক সরকারসহ তার পরিবারের তিন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ায় গোহট উত্তর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড ১৫জুন থেকে ১৪দিনের জন্যে লক ডাউন করে দেওয়া হয়। কচুয়া থানার সেকেন্ড অফিসার তাজুল ইসলাম ও গোহট ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যা মো: মনির হোসেন প্রশাসনের নির্দেশে লকডাউন ঘেষনা করেন।
ছবি: পালগিরি এলাকার ৫ নং ওয়ার্ড লকডাউনের একাংশ
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আহমেদ জানান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর হিসেব অনযায়ী ১৬জুন পর্যন্ত ২শত৭ জনের নমুণা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে ১শত ৯৫ জনের ফলাফল পাওয়া গেছে। তার মধ্যে ২৮জনের পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে।সুস্থ্য হয়েছে ৫জন ,মারা গেছে ৪জন। কচুয়ার বাহিরে অন্য স্থান থেকে করোনা পজেটিভ শনাক্তকারীর মারা গেছে ৪জন। হোমকোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৯জন।
Leave a Reply